যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য কার্লাইল বুধবার নয়া দিল্লিতে পৌঁছালে তাকে সেখান থেকেই ফিরতি বিমানে উঠিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে আসতে চেয়ে ব্যর্থ হওয়া কারলাইল ভারতেও ঢুকতে না পাওয়ার পর দাবি করেছেন, ঢাকার ‘চাপেই’ নয়া দিল্লি তাকে ঠেকানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কার্লাইলকে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।
ভারত কারলাইলকে ঢুকতে না দেওয়ায় মর্মাহত হয়েছেন বলে প্রতিক্রিয়া এসেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছ থেকে। বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে সোচ্চার কারলাইলকে কয়েক মাস আগে দলীয় চেয়ারপারসনের আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয় বিএনপি। খালেদা দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। শুক্রবার নয়া দিল্লিতে ‘ফরেন করেসপন্ডেন্ট ক্লাবে’ খালেদার দণ্ড নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করার উদ্দেশ্যে ভারতে পা রেখেছিলেন তিনি। তাকে ফেরত পাঠানোর পর কারণ হিসেবে ‘উপযুক্ত ভিসা নিয়ে না আসার’ কথা তাৎক্ষণিকভাবে বলেছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেছেন, “তার উদ্দেশ্য সন্দেহজনক। ‘তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। এবং ভারত ও বাংলাদেশের বিরোধী দলের (বিএনপি) মধ্যেও ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করতে চেয়েছিলেন।’ ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সংবাদ সম্মেলন করে ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড’ চালাতে চেয়েছিলেন কার্লাইল, যা তার ভিসার শর্তের লংঘন হত। ভারতে ঢুকতে না পারার পর নিজের দেশে পৌঁছে খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন কার্লাইল। ইন্ডিয়া টুডে বলছে, কার্লাইল ওই বিবৃতিই দিল্লির সংবাদ সম্মেলনে পড়তে চেয়েছিলেন, যেখানে তিনি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন।
তার এই বিবৃতির সূত্র ধরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, তার উদ্দেশ্য কী ছিল তা এখন খুবই স্পষ্ট, যখন আপনি তার বিবৃতি পড়বেন, যেটা তিনি এখানে দিতে চেয়েছিলেন। ‘তিনি বিজনেস ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। এটা কোন ধরনের বিজনসে?’ কার্লাইলের সফরের উদ্দেশ্য শুরু থেকেই স্পষ্ট ছিল মন্তব্য করে রাভিশ কুমার বলেন, তাকে আগেই বলা হয়েছিল ই-ভিসা বৈধ নয়। তারপরেও ফিরতি বোর্ডিং পাস নিয়ে তিনি এসেছিলেন, যে ফ্লাইট দুই ঘণ্টা পর উড়াল দেওয়ার কথা ছিল।